দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ হরতালে রেলের নিরাপত্তা, রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও নাশকতা প্রতিরোধে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ৯টি পয়েন্টে ৪৬ জন সদস্য পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। লাঠি, বাঁশি ও টর্চ নিয়ে রাত-দিন রাষ্ট্রের সম্পদ ও মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। অথচ তেমন কোন অস্ত্র তাদের কাছে না থাকায় শংকায় নিজেদের নিরাপত্তা। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের সম্পদ ও জনগণের যানমাল রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এ বাহিনীর সদস্যরা।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিস সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলমান। সারাদেশে দেশব্যাপী হরতাল ও হরতাল- অবরোধের নামে রেললাইন ও আগুনসহ সহিংসতা, অগ্নিসন্ত্রাস, পিটিয়ে পুলিশ হত্যাসহ নানা নাশকতা, নৈরাজ্য চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেন ও ট্রেনলাইনে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের সকল অরাজকতা প্রতিরোধ করতে রেললাইন পাহারায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন আনসার ও ভিডিপি সদ্যরা। এ উপজেলা উপর দিয়ে ময়মনসিংহ- ভৈরব রেললাইন বয়ে গেছে এ রেললাইনের নিরাপত্তা, রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও নাশকতা প্রতিরোধে কাজ করছেন আনসার সদস্যরা। উপজেলার রেলক্রসিং ও স্টেশনের ৯টি পয়েন্টে ৪৬ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ৯টি স্পটে প্রতি শিফটে ৩ জন করে রেললাইনে পাহারা দিচ্ছেন। এ বাহি- নীর নির্ধারিত পোশাক পরিধান করা আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের হাতে শুধু লাঠি ও বাঁশি। অথচ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরস্ত্র অবস্থায় অনেকটা অনিরাপদ রয়েছে আনসাররা। ফলে জীবনের ঝুঁকি রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জনগনের যানমাল রক্ষার গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা।
উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সুশান্ত মোদক বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৩টি স্টেশনসহ ৯টি রেলক্রসিং পয়েন্টে ভাগ করা হয়েছে। এতে প্রতি শিফটে ৩ জন করে মোট ৪৬জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য রেললাইন পাহারায় নিয়োজিত আছেন। যতদিন হরতাল অবরোধ থাকবে ততদিন পর্যন্ত তারা নিরাপত্তার দায়িত্বে অব্যাহত থাকবে। তারা নাশকতা মুলক কোন তথ্য জানালে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।